রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর :
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের বনগাঁও মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৫৩২ নম্বর দাগের ৫৮ শতক সরকারি জমিতে একটি পুকুর তিন যুগের বেশি সময় ধরে বেহাত ছিল। সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া মৌজায় ৬১ শতক সরকারি জমিতে আরও একটি খাস জমি দখল করে আসছিল স্থানীয়রা। তিন-চারবার হাতবদল হওয়া এসব সরকারি জমি থেকে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলোও কোন খাজনাও আদায় করা যায়নি, ছিল না কোনো সরকারি তদারকিও। গত পাঁচ মাসে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জমিগুলো উদ্ধার করেছে ঝিনাইগাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. আশরাফুল কবীর। উপজেলার ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া মোট জমির পরিমাণ ৫ একর ২২ শতাংশ। তন্মধ্যে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী মৌজায় ২ একর ৫৪ শতাংশ জমি, জড়াকুড়া মৌজায় ১ একর ২৯ শতাংশ একটি খাস পুকুর, পাইকুড়া মৌজায় ৬১ শতাংশ আরও একটি খাস পুকুর, গৌরিপুর ইউনিয়নের বনগাঁও মৌজায় ৫৮ শতাংশ পরিমাণ একটি খাস পুকুর, নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া মৌজায় ২০ শতাংশ খাস জমি দখলমুক্ত করে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এসব জমির বর্তমান মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। জমিগুলোতে এত দিন মাছ চাষ, ফসল চাষ, বসতবাড়ি, মার্কেট ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল কবির অভিযান চালিয়ে জমিগুলো দখলমুক্ত করার পর সাইনবোর্ড ও লাল নিশানা টাঙিয়ে দিয়েছেন। জমি উদ্ধার কার্যক্রমে ভ‚মি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেন। সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল গৌরিপুর ইউনিয়নের বনগাঁও এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া জমির পরিমাণ ৫৮ শতাংশ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল কবির বলেন, এ উপজেলায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত কিছু জমি বেদখল হয়ে আছে। আমি যোগদানের পর জেলা প্রশাসক এবং ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় উপজেলাজুড়ে দখলে থাকা সরকারি জমির খোঁজ নেয়া হয়। পরে সেগুলো দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়। সরকারী স্বার্থ রক্ষায় এধররণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, এ উপজেলায় অবৈধভাবে দখলকৃত খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমি চিহ্নিতকরণ ও জমি গুলো সরকারী দখলে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে পর্যায়ক্রমে ভূমিহীনদের মাঝে তা বন্দোবস্ত প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে উদ্ধারকৃত খাস পুকুরগুলো নিয়মানুযায়ী লিজ প্রদান এবং খাস কালেকশনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।